কক্সবাজারের উখিয়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজাকে উৎসবমুখর ও সুষ্ঠু পরিবেশের মধ্যদিয়ে উদ্যাপন উপলক্ষ্যে এক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় উপজেলার ৮ টি পূজামণ্ডপকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় উখিয়া উপজেলা পরিষদ হল রুমে, উপজেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি, স্বপন শর্মা রনির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রূপন দেওয়ানজী পরিচালনায় উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে যেন কোথাও আইনশৃঙ্খলা অবনতি না হয়। যদি কোথাও কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা। ধর্মীয় উৎসব যেন সর্বজনীন ও শান্তিপ্রিয় হয় সে ব্যাপারে সকল ধর্মের মানুষ সজাগ থাকার আহ্বান করেন।
তিনি বলেন, উপজেলার ৫ ইউনিয়নের ৮ টি পূজামণ্ডপকে সিসি ক্যামেরা ধারা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এতে সহযোগিতা করবে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণ। সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে শারদীয় দুর্গা পূজা উদ্যাপন ও শান্তিপূর্ণ সহ অবস্থান বজায় রাখার জন্য সকল ধর্মের মানুষের প্রতি অনুরোধ করেন।
মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী উখিয়া উপজেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজর আরেফিন, মেজর সাইফ, উখিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আরিফ, এনএসআই ডিডি ওহিদ।
শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) উখিয়া উপজেলা শাখা সভাপতি সরওয়ার জাহান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামি উখিয়া উপজেলা শাখা আমির মৌ. আবুল ফজল, সাধারণ সম্পাদক মৌ. সুলতান আহমদ, হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী, রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মীর শাহেদুল ইসলাম রোমান, সাদমান জামী চৌধুরী।
উখিয়া উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত সভায়, বিভিন্ন ধর্মী নেতা, গণমাধ্যম কর্মী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ছাত্র প্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ফায়ার সার্ভিস সদস্য, র্যাব সদস্য, আনসার সদস্য, মেডিকেল সদস্যসহ সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের শ্রেনি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, উখিয়া উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে ৭ টি ও হিন্দু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১ টিসহ মোট ৮টি পূজামণ্ডপ ইতিমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে শারদীয় দুর্গা পূজা শেষে বিসর্জন দেওয়ার জন্য।
পাঠকের মতামত: